Dhaka ১২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

যে ৬ কারণ বুকে কফ জমে

  • Update Time : ১২:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : শরীর প্রতিদিন প্রকৃতিগতভাবে শ্লেষ্মা তৈরি হয়। স্বাভাবিক ভাবে শরীরে প্রতিদিন প্রায় এক লিটার শ্লেষ্মা তৈরি হয়। শ্বাসতন্ত্রকে সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষায় সাহায্য করে শ্লেষ্মা। বেশি শ্লেষ্মা স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। রোগের কারণে সচরাচরের চেয়ে বেশি শ্লেষ্মা তৈরি হয়, যা আমাদের কাছে কফ নামে পরিচিত।

বুকে কফ জমার ছয়টি কারণ

এসিড রিফ্লাক্স: আপনার এসিড রিফ্লাক্স থাকলে পাকস্থলির এসিড খাদ্যনালী-গলাতে চলে আসবে। এটা গলাকে উক্ত্যক্ত করে ও শ্লেষ্মা নিঃসরণ করে। অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়ে বুকে কফ জমে যায়। অ্যালার্জি: অ্যালার্জি অনেক উপসর্গে ভোগাতে পারে, যেমন- চোখে চুলকানি, হাঁচি, বুকে কফ জমা, বুক আঁটসাঁট হওয়া ও কাশি। আপনি বায়ুবাহিত কিছুর (যেমন- ফুলের রেণু ও ধূলা) প্রতি অ্যালার্জিক হলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়ে বুকে কফ জমতে পারে। হাঁপানি: হাঁপানির অন্য উপসর্গের (শ্বাসকষ্ট ও বুকে আঁটসাঁট অনুভূতি) পাশাপাশি বুকে কফও জমতে পারে। শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয় বলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়, কিন্তু অল্প পরিমাণে সাদা বা স্বচ্ছ শ্লেষ্মা দুশ্চিন্তার কিছু নয়। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ: ফ্লু, একিউট ব্রনকাইটিস ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রমণে শ্বাসনালী বাড়তি শ্লেষ্মা তৈরি করে। প্রায়সময় কাশির সঙ্গে কফ বেরিয়ে আসে। এটার রঙ সবুজ বা হলুদ হতে পারে। নতুন সংক্রমণ কোভিড-১৯ বুকে কফ জমায় না, কিন্তু সংক্রমণটি থেকে নিউমোনিয়া হলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা নিঃসরিত হয়ে বুকে কফ জমে। সিওপিডি: সিওপিডির পূর্ণরূপ হলো ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। কিছু ফুসফুসীয় রোগ সিওপিডির অন্তর্ভুক্ত, যেমন- ক্রনিক ব্রনকাইটিস ও এম্ফিসেমা। ক্রনিক ব্রনকাইটিস ব্রনকিয়াল টিউবে প্রদাহ সৃষ্টি করে ও বাড়তি শ্লেষ্মা উৎপাদন করে। উভয়েই ফুসফুসের কাজকে কঠিন করে তোলে। সাধারণত ফুসফুসকে উক্ত্যক্ত করে এমনকিছুর দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শে সিওপিডি হয়, যেমন- ধূমপান। হাঁপানি থেকেও সিওপিডি ডেভেলপ করতে পারে। সিস্টিক ফাইব্রোসিস: সিস্টিক ফাইব্রোসিস (সিএফ) একটি বংশগত রোগ। রোগটিতে শরীরে পুরু ও আঁটালো শ্লেষ্মা উৎপন্ন হয়। সিস্টিক ফাইব্রোসিস ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গে কফ জমাতে পারে। এই রোগে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের আরো অবনতি হতে থাকে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যে ৬ কারণ বুকে কফ জমে

Update Time : ১২:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : শরীর প্রতিদিন প্রকৃতিগতভাবে শ্লেষ্মা তৈরি হয়। স্বাভাবিক ভাবে শরীরে প্রতিদিন প্রায় এক লিটার শ্লেষ্মা তৈরি হয়। শ্বাসতন্ত্রকে সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষায় সাহায্য করে শ্লেষ্মা। বেশি শ্লেষ্মা স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। রোগের কারণে সচরাচরের চেয়ে বেশি শ্লেষ্মা তৈরি হয়, যা আমাদের কাছে কফ নামে পরিচিত।

বুকে কফ জমার ছয়টি কারণ

এসিড রিফ্লাক্স: আপনার এসিড রিফ্লাক্স থাকলে পাকস্থলির এসিড খাদ্যনালী-গলাতে চলে আসবে। এটা গলাকে উক্ত্যক্ত করে ও শ্লেষ্মা নিঃসরণ করে। অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়ে বুকে কফ জমে যায়। অ্যালার্জি: অ্যালার্জি অনেক উপসর্গে ভোগাতে পারে, যেমন- চোখে চুলকানি, হাঁচি, বুকে কফ জমা, বুক আঁটসাঁট হওয়া ও কাশি। আপনি বায়ুবাহিত কিছুর (যেমন- ফুলের রেণু ও ধূলা) প্রতি অ্যালার্জিক হলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়ে বুকে কফ জমতে পারে। হাঁপানি: হাঁপানির অন্য উপসর্গের (শ্বাসকষ্ট ও বুকে আঁটসাঁট অনুভূতি) পাশাপাশি বুকে কফও জমতে পারে। শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয় বলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়, কিন্তু অল্প পরিমাণে সাদা বা স্বচ্ছ শ্লেষ্মা দুশ্চিন্তার কিছু নয়। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ: ফ্লু, একিউট ব্রনকাইটিস ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রমণে শ্বাসনালী বাড়তি শ্লেষ্মা তৈরি করে। প্রায়সময় কাশির সঙ্গে কফ বেরিয়ে আসে। এটার রঙ সবুজ বা হলুদ হতে পারে। নতুন সংক্রমণ কোভিড-১৯ বুকে কফ জমায় না, কিন্তু সংক্রমণটি থেকে নিউমোনিয়া হলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা নিঃসরিত হয়ে বুকে কফ জমে। সিওপিডি: সিওপিডির পূর্ণরূপ হলো ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। কিছু ফুসফুসীয় রোগ সিওপিডির অন্তর্ভুক্ত, যেমন- ক্রনিক ব্রনকাইটিস ও এম্ফিসেমা। ক্রনিক ব্রনকাইটিস ব্রনকিয়াল টিউবে প্রদাহ সৃষ্টি করে ও বাড়তি শ্লেষ্মা উৎপাদন করে। উভয়েই ফুসফুসের কাজকে কঠিন করে তোলে। সাধারণত ফুসফুসকে উক্ত্যক্ত করে এমনকিছুর দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শে সিওপিডি হয়, যেমন- ধূমপান। হাঁপানি থেকেও সিওপিডি ডেভেলপ করতে পারে। সিস্টিক ফাইব্রোসিস: সিস্টিক ফাইব্রোসিস (সিএফ) একটি বংশগত রোগ। রোগটিতে শরীরে পুরু ও আঁটালো শ্লেষ্মা উৎপন্ন হয়। সিস্টিক ফাইব্রোসিস ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গে কফ জমাতে পারে। এই রোগে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের আরো অবনতি হতে থাকে।

এসএস//